প্রধানমন্ত্রীর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রোববার (৩০ মার্চ) বলা হয়, সারাদেশে করোনা ভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন অবস্থায় আছে।
‘যেসব কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছে, প্রধানমন্ত্রী সেসব কর্মহীন লোক (যেমন- ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিন মজুর, রিকশাচালক, ভ্যান গাড়ি চালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্তোরাঁ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানি); যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায় তাদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। ’
এছাড়া সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক, কৃষি শ্রমিকসহ উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে বিত্তশালী ব্যক্তি বা সংগঠন বা এনজিও কোনো খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে জেলা প্রশাসক প্রস্তুতকৃত তালিকার সঙ্গে সমন্বয় করবেন; যাতে দ্বৈততা পরিহার করা যায় এবং কোনো উপকারভোগী বাদ না পড়ে।
সামগ্রিকভাবে সমন্বিত কার্যক্রম এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত ৩১ হাজার ২১৭ মেট্রিকটন চাল ও প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে আজও (৩০ মার্চ) কিছু বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং ইউএনও-রা তালিকা করে সরকারের ত্রাণ বিতরণ করছেন বলে জানান শাহ কামাল।
মন্ত্রণালয়ের অপর এক চিঠিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসকেরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০১২-১৩ অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ ও নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
‘পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় জেলা প্রশাসকগণ বরাদ্দের ক্ষেত্রে পৌর এলাকাকে গুরুত্ব দেবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এমআইএইচ/এমএ