ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঠাণ্ডা-জ্বরে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামীকে পাঠানো হলো সিলেটে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
ঠাণ্ডা-জ্বরে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামীকে পাঠানো হলো সিলেটে

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামীকেও করোনা (কোভিট-১৯) টেস্টের জন্য সিলেট পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন।  

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (২৩ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টায় এক নারীকে (৫৫) সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

দায়িত্বরত চিকিৎসকরা রোগীকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করার পর স্বজনরা মরদেহ বাসায় নিয়ে যান। বিষয়টি সিভিল সার্জনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সিনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিনের নেতৃত্বে ডেপুটি সিভিল সার্জন, মেডিক্যাল অফিসার ও স্বাস্থ্য সহকারীকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ও তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
 
তদন্ত টিম রোগীর বাড়িতে যান কিন্তু ইতোমধ্যে রোগীর দাহ সম্পন্ন হয়ে যাওয়া রোগীর পুনঃমূল্যায়ন পরীক্ষা সম্ভব হয়নি।

জিজ্ঞাসাবাদে মৃত নারীর স্বামী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন এবং অনিয়মিত ওষুধ সেবন করতেন। গেল এক সপ্তাহ ধরে তার স্ত্রী জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন।  

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মৃত নারীর স্বামীও গত কয়েকদিন ধরে জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনিও ভয়ে আছেন এবং তিনি সিলেট গিয়ে আইসোলেশন ও করোনার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তদন্ত কমিটিও এ ব্যাপারে সম্মত হয়। যেহেতু স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন তাই তার স্বামীর নমুনা সংগ্রহ করে করোনার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা দরকার। তাই সিভিল সার্জনের নির্দেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোগ নির্ণয়ের উদ্দেশে মৃত নারীর স্বামীকে সিলেটের শহীদ শামসউদ্দিন হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।