রোববার (২৯ মার্চ) দেশের সেরা অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে তিন বেলা তো দূরের কথা, 'এক বেলা ভাত জোটানো কষ্টকর' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নজরে পড়ে। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরেই পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় তারা সহযোগিতা করছিলেন।
সোমবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ঘুরে জংশন স্টেশনের দেড়শো চায়ের দোকানি, দিনমজুর কুলি ও চুক্তিভিত্তিক সব শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব প্যাকেটের ভেতরে ছিল পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি করে ডাল, এক লিটার তেল, দুই কেজি আলু, ২টি সাবান ও মাস্ক।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হকের নেতৃত্বে সেসময় উপস্থিত ছিলেন- পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন প্রকৌশলী-১ মনিরুজ্জামান মনির, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল, বিভাগীয় সংকেত টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্ত, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজাউন উর রহমান, রেলওয়ে জিআর আরপি থানার গোপাল কুমারসহ দায়িত্বরত রেলওয়ের কর্মচারী।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, করোনার প্রভাবে ২৬ মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। যারা মূলত দিন আনে দিন খায়, তাদের দোকান বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে আছে তারা। এরা অভাবে থাকলেও কাউকেই কিছু বলতে পারে না। তাই পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের উদ্যোগে সামান্য সহযোগিতা করা হলো। একটু হলেও তাদের উপকার হবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ের কর্মচারীরা তাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করছেন। অব্যাহত রয়েছে এ কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
আরএ