সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে শহরের মহাজপট্টি ও সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মো. সায়েদ এ জরিমানা করেন।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আকিব ওসমান বাংলানিউজকে জানান, জরুরি ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত অন্যসব দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসন।
এদিকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় জেলার ২৩৬ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া নতুন ৬ জনসহ এখনো হোম কায়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৮৯ জন।
হোম কোয়েরেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে সদরে ৪৬ জন, দৌলতখানে ২১ জন, বোরহানউদ্দিনে ২০ জন, লালমোহনে ১৭ জন, তজুমদ্দিনে ৪৪ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১৬ জন। আর হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে এমন প্রবাসীদের মধ্যে সদরে ৭৬ জন, দৌলতখানে ২৮ জন, বোরহানউদ্দিনে ২৭ জন, লালমোহনে ২৭ জন, চরফ্যাশনে ৩৬ জন, তজুমদ্দিনে ২৭ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১৬ জন।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। জেলার সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ৪১১ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে।
এদিকে দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোলায় সাবান বিতরণ ও স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া কার্যক্রম করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে নৌ বাহিনী ও পুলিশের টিম বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এমআরএ