ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা ভাইরাস রোধে সতর্ক সিলেট কারাগারও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
করোনা ভাইরাস রোধে সতর্ক সিলেট কারাগারও ছবি: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার

সিলেট: করোনা ভাইরাস থেকে বন্দিদের সুরক্ষায় কারাগারেও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ওয়ার্ডকে আইসোলেশনের স্থানে রূপান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন বন্দিদের অভ্যন্তরে নেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে কারা প্রশাসন।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নগরের উপকণ্ঠ বাদাঘাট এলাকায় তিন হাজার বন্দি ধারণ ক্ষমতার নতুন কারাগার স্থাপনের পর নগরে অবস্থিত পুরনো কারাগার থেকে বন্দিদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়। অবশ্য পুরনো কারাগারটিতে কিছু বন্দিকে রাখা হয়, যাদের পরদিন আদালতে হাজির করতে হয়।

অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি বন্ধের কারণে আদালতে যেতে হয়না বন্দিদের। কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন বন্দি যাচ্ছে কারাগারে। আর তাদের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে কাজ করছে কারা প্রশাসন, যাতে কারাগারে করোনা ভাইরাস না ছড়ায়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, ‘বর্তমানে কারাগারে হাজতি-কয়েদির সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৫৭৭ জন। প্রতিদিন নতুন বন্দি আসা অব্যাহত রয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘বন্দিদের করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করাও সীমিত করে ল্যাল্ড ও মোবাইল ফোনে কথা বলার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে, যাতে বন্দিরা তাদের পরিবারের খোঁজ নিতে পারেন। পাশাপাশি কারা ফটকে দেখা করতে গেলে অন্তত দেয়াল থেকে তিন ফুট দূরত্বে থাকতে হচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘মরণব্যাধি করোনার ছোঁবল থেকে বন্দিদের সুরক্ষায় কারা চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে চিকিৎসক নার্সদের জন্য পাঁচটি পিপিই পেয়েছেন তারা। তাছাড়া বন্দিদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, খাবার-দাবারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে এখনো কেউ জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হননি। ’

অবশ্য কারা সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ওয়ার্ডে একসঙ্গে থাকা শতশত হাজতি-কয়েদিকে রাখা হয়। সেখানে নিত্যদিন আসেন নতুন আসামির। সেই চার দেয়ালের অভ্যন্তরে বন্দিরা আক্রান্ত হলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। কেননা কারাগারে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি চিন্তা করা মুশকিল।

এ বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘নতুন বন্দি আসার পর আমরা সাবান দিয়ে তাদের হাত-পা মুখমণ্ডল পরিষ্কার করাই। তাদের শরীরের কাপড় চোপড়ে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। এরপর একটি স্যাভলন ভেজানো কম্বলের ওপর দিয়ে তাদের হাঁটাই, যাতে তাদের পা ভাইরাসমুক্ত হয়। সেখান থেকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে কারা অভ্যন্তরের আইসোলেশনে রেখে পর্যবেক্ষণ করার পর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এনইউ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad