রোববার (২৯ মার্চ) ভাষানটেক এলাকার তিন নম্বর ধামালকোট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমনই চিত্র। বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন করা মাঝারি আকারের পিকআপ ভ্যান দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে যাত্রী।
বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী পরিবহনে। আর যাত্রী হিসেবে যারা আসছেন তারা বেশিরভাগই ভাষানটেক ও আশপাশের এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলেই দ্রুতই সটকে পড়েন পিকআপের চালক ও হেলপার। কথা হয় পিকআপে থাকা এক যাত্রীর সঙ্গে। চলাচল নিষিদ্ধ তারপরেও কেন যাচ্ছেন আর কীভাবে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই যাচ্ছে তাই আমরাও যাচ্ছি। সবাই যেভাবে যেতে পারবে আমরাও সেভাবে যেতে পারবো।
এদিকে এলাকার এক ব্যবসায়ী হাফিজ আহমেদ জানান, সারাদিনই এভাবে পিকআপে করে যাত্রী পরিবহন চলছে।
তিনি বলেন, দিনভর পিকআপ চলছে এভাবে। নির্দিষ্ট টাইম টেবিল নেই। কারা চালায় জানি না। শুনছি স্ট্যান্ডের লোকজন কন্ট্রোল করে এসব পিকআপ ভ্যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনশী সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি মোবাইল টিমকে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমরা জরুরি যানবাহন ছাড়া কোনো যানবাহনই চলাচল করতে দিচ্ছি না। মানুষ একসঙ্গে জড়ো হলে কিংবা মোটরসাইকেলেও দু’জন দেখলে আমরা সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
এ সংক্রান্ত ছবি-ভিডিও থাকার বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, আপনারা জানেন ভাষানটেক এলাকায় কয়েকটি বস্তিতে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। তাদের বোঝাতে গেলেও অনেক সময় পাত্তা দেয় না, হাসাহাসি করে। তারপরেও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ধরনের পিকআপে যাত্রী চলাচল কিংবা সিএনজি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরেও কেউ গোপনে এসবে চলাচল করলে বিষয়টি আমাদের নলেজে নেই।
তবে এ বিষয়ে আরও নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
এদিকে মিরপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কে অনেকটা অবাধেই চলছে সিএনজি। দেখেও এক প্রকার না দেখার ভান করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যদের সিএনজি চলাচলে এ প্রতিবেদক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় বেসামরিক পোশাকে থাকা নিজেকে সার্জেন্ট সোহেল রানা পরিচয় দেওয়া এক ট্রাফিক সদস্য বলেন, আসলে যাদেরই আটকাবেন দেখবেন যাত্রীদের জরুরি কোনো প্রয়োজন আছে। দুই একটা যাদের নেই বা খালি সিএনজি তাদের বিষয়ে যে কী করবো আমরাও বুঝতেছি না। মামলা যে দেবো মামলার মেশিন তো নেই। তবুও যতটুকু বুঝিয়ে শুনিয়ে পারি আমরা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এসএইচএস/আরবি