করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের সময়ে ঘরে থাকার নির্দেশনার মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাজার করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী এমন মন্তব্য করেন।
শুধু ওই চাকরিজীবীই নয়, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে (বউ বাজার) কাঁচা বাজারে অনেক জনসাধারণকে বাজার করতে দেখা গেছে।
এছাড়া মহল্লার ভেতরে যুবক থেকে বৃদ্ধ অনেককে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে চা দোকান বা রাস্তার মোড়ে এসব আড্ডা বেশি।
রোববার (২৯ মার্চ) বেসরকারি ওই চাকরিজীবী মুহাম্মদ ইয়াছিন জানান, রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক বাসাই থাকি। একান্ত দরকারেই বাজার করতে বের হয়েছি। কারণ আমি কোনো প্রকার খাদ্য সামগ্রী মজুদ করিনি। তাই মাঝে মধ্যে বাজার করতে বের হই। কি করবো, খেতে তো হবে। জীবন তো আর থেমে থাকে না। তাই বাজার করতে বাসা থেকে বের হওয়া।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি। সরবরাহ কম, ক্রেতাও কম। তবে কালোজিরা কিংবা লেবুর দাম অনেক বাড়তি। সব ক্রেতাই এ দু’টি নিতে ব্যস্ত। তাই হয়তো দাম বেশি।
পেঁয়াজ-রসুনের দোকানে দেখা মিললো আইনজীবী এম কে ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সচেতনতা ভালোই দেখতেছি। সবার মুখে মুখে মাস্ক। কিছু দোকানির হাতে গ্লাভস। এটি ভালো। কিন্তু রাজধানীর বাসিন্দা হিসেবে যতটুকু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত তা বেশির ভাগ মানুষ মানছে না। এক দোকানে চার/পাঁচজন মানুষ বাজার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
ইএস/আরবি/