এছাড়া পান্তই ত্রিপুরা (৯) নামে অপর এক শিশুকে রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। সকাল থেকে আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে মেডিক্যাল টিম।
বিদ্যালয়টির শিক্ষক ধনিময় ত্রিপুরা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে শিশুরা প্রথমে জ্বর আক্রান্ত হচ্ছে। পরে শরীরে লাল লাল গুটি দেখা দিচ্ছে যা হামের লক্ষণ। কিন্তু এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় এখানে কোনো চিকিৎসাসেবা নেই। মারা যাওয়া শিশুটিরও একই লক্ষণ নিয়ে শনিবার (২৮ মার্চ) মারা যায়।
স্থানীয় সমাজকর্মী হীরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, দূরত্বের কারণে এখানে মাঠ পর্যায়ের কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আসে না। যদি আসতো তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। ওই এলাকায় হামের টিকা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন।
দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার বলেন, হামের লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষা ছাড়া তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এলাকায় একটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, হাম-রুবেলা দূর করার জন্য একটি এমআর ক্যাম্পেইন করার কথা ছিল। কিন্তু দেশের বিশেষ পরিস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এখানে ক্যাম্পেইনটি চালু করা যায় কিনা দেখবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এডি/এএটি