একই সঙ্গে ওই বাড়িসহ আশেপাশের চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে অটোচালকের পরিবারের চার সদস্যসহ চার বাড়ির লোকজন।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম ইভনুল হাসান ওই চারটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম ইভনুল হাসান জানান, এক অটোরিকশা চালক গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে তার বাড়িতে গিয়ে উপসর্গগুলো দেখে করোনা সন্দেহে তার বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত এবং তার আশেপাশের লোকজন সর্তকে থাকার জন্য আরও তিনটি বাড়িসহ মোট চারটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তৌফিকুল হাসান জানান, গত দু’দিন আগে জ্বর নিয়ে ওই অটোরিকশা চালক রাতে স্থানীয় একটি চেম্বারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাব্বিরের কাছে আসেন। তিনি গত ছয়দিন ধরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। পরে ডাক্তার সাব্বির তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বললে তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি থাকেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে উপজেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার বাড়িতে যান। সেখান থেকে ওই ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রোববার বিকেলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) চট্টগ্রামে এ পাঠানো হয়েছে। আগামী তিনদিন পর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার শরীরে করোনা আছে কী না জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এনটি