ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পটুয়াখালীতে ২টি বাড়ি লকডাউন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
পটুয়াখালীতে ২টি বাড়ি লকডাউন

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী জেলা কারাগারের দক্ষিণ পাশের একটি বাসায় সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত এক ব্যক্তির মেয়ের বাসা এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণকারী বহাল গাছিয়া গ্রামের অপর এক ব্যক্তির বাসা লকডাউন করেছে প্রশাসন।

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লতিফা জান্নাতি লাল পতাকা টানিয়ে দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।

এসময় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও লতিফা জান্নাতি বলেন, জেলা কারাগারের দক্ষিণ পাশের একটি বাসায় মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ থাকায় তার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শনিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ওই ব্যক্তির স্বজনরা তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তাকে প্রথমে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে শনিবার রাতেই করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হলে সকাল সোয়া ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, আমাদের এখানে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কোনো কিট নেই। তবুও রোগীর লক্ষণ দেখে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।  

রোগীর মৃত্যুর পর বিষয়টি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক।

মৃত ব্যক্তির শ্বশুর জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তার জামাতা। অপরদিকে অপর মৃত ব্যক্তির পরিবার জানায় শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ওই তার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।