ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে পর্যাপ্ত পিপিই মজুদ আছে: ডিসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
নারায়ণগঞ্জে পর্যাপ্ত পিপিই মজুদ আছে: ডিসি .

নারায়ণগঞ্জ: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নারায়ণগঞ্জে জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জমাদি (পিপিই) মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসীম উদ্দিন। 

শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় তিনি সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করারও আহবান জানিয়েছেন।  

সভায় জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি, অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে জানান, জেলার ছয়টি সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সাজেদা হাসপাতাল নামে আইসিইউ সুবিধা সম্পন্ন ৩০ শয্যার একটি করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে করোনা রোগীদের ছাড়া অন্য কোন রোগীর চিকিৎসা করা হবে না।  

তিনি বলেন, এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসের চিকিৎসায় ৯০ জন চিকিৎসক ও ১৭৩ জন নার্স নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি আরো ৭২টি চিকিৎসাকেন্দ্রে করোনা চিকিৎসাসেবা দিতে নিয়োজিত রয়েছেন ১০০ জন চিকিৎসক ও ১৮০ জন নার্স।  

চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে ২৪০টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী প্রয়োজন মেটাতে আরো ৩৪৮টি মজুদ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার শনাক্তকরণসহ সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়েছে।  

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন।

ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের দূর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয়ে সাত হাজার ৮৮টি দুস্থ পরিবারকে ২৬ দশমিক ১০ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ৪৩৮ পরিবার এই সহায়তা লাভ করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, জেলায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে দুজন সুস্থ হয়েছেন। অপর একজন আইসোলেশনে রয়েছেন। এছাড়া শনিবার নতুন করে ১৫ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বিদেশ ফেরত ৩৫২ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৩৯ জনের।  

তিনি আরো জানান, গত ১ মার্চ থেকে বিদেশ থেকে পাঁচ হাজার ৯৬৮ জন প্রবাসী দেশে এসেছেন। তাদের মধ্যে ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে ২৮০ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এমআইএইচ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad