বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিন বলেন, শনিবার বিকাল চারটায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই রোগীকে ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়। কক্সবাজারে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।
কাঁশি-শ্বাসকষ্ট-জ্বর নিয়ে গত ১৮ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এ রোগীর করোনা শনাক্ত হয় গত ২৪ মার্চ। এরপরই রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক-নার্স ও ঘনিষ্টজনদের ঘিরে সর্বত্র আতংক তৈরি হয়। এই ঘটনায় রোগীর ৮ সন্তান ও আরো কয়েকজন নিকটাত্মীয়ের বাসা লকডাউন করে দেয়া হয়। রোগীকে চিকিৎসা প্রদানকারী ১০ চিকিৎসক, ৮ নার্স ও ৩ ক্লিনারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এমনকি করোনা রোগীর চিকিৎসকের স্ত্রী হওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও সপরিবারে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। অবশ্য এরমধ্যে রোগীর সবচেয়ে বেশি সংস্পর্শে আসা ৩ চিকিৎসকের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে। এরপরও নিয়ম মোতাবেক তারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
জানাগেছে গত ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার এ করোনা রোগীকে (৭৮) দেখতে আইইডিসিআর এর করোনা স্পেশাল টিমের সদস্যরা কক্সবাজারে আসেন এবং চিকিৎসাপত্র দিয়ে যান। কিন্তু করোনার ওষুধ খাওয়ার পর রোগীর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে বলে জানায় রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্র। ফলে শনিবার বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, ঢাকার পথে রোগীর সঙ্গে রয়েছেন একজন মাত্র অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, আর রোগীর মেয়ে শাফিয়া। শাফিয়া গত প্রায় ১৩ দিন ধরে করোনারোগী মায়ের সঙ্গে থেকেও রয়েছেন পুরোপুরি সুস্থ।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘন্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এসবি/এমএইচএম