এ সময় মনিরামপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. বায়োজিদ হোসেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলজিআরডিএ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সজিব কুশারি উপস্থিত ছিলেন।
পরে এলজিআরডিএ প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্য নিজেও মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে, শুক্রবার (২৭ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মাস্ক না পরায় তিন প্রবীণ নাগরিককে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান। একইসঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনে তাদের ছবি ধারণ করেন তিনি। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এরপর শনিবার (২৮ মার্চ) অভিযুক্ত এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার করা হয়। এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলানিউজকে বলেন, সিনিয়র সিটিজেনের সঙ্গে এমন ধরনের আচরণ অমানবিক। তাই সংশ্লিষ্ট ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) তাদের (প্রবীণদের) বাড়িতে যাবেন, তাদের ‘সরি’ বলবেন। তাদের খাবার, মাস্কসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আসবেন।
তবে এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানের তাদের বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই জানিয়ে সচিব বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও দেশের সব জেলা প্রশাসককে বলেছি, এমন ধরনের আচরণ যেন আর কারও সঙ্গে না করা হয়। করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
ইউজি/এমএইচএম