বর্তমানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশে স্থানীয়দের সচেতন করতে মাঠে কাজ করছেন দু’জনেই। অথচ দু’জনের চরিত্রের পার্থক্য আকাশ-পাতাল।
করোনা ভাইরাস দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও দিলারা রহমান সকাল থেকে সন্ধ্যা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হ্যান্ডমাইকে জনগণকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন। এটি মোকাবিলা করতে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গেও সচেতনতা সৃষ্টিতে মতবিনিময় করেছেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সচেতন করছেন মানুষকে। বিদেশ ফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণসহ জনসমাগম এলাকাগুলোতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সচেতন করছেন। এ কারণে স্থানীয়, জাতীয় দৈনিক, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সব সময় তার ভূয়সী প্রশংসা চলছে।
অন্যদিকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া মনিরামপুরের এসিল্যান্ড সায়েমা হাসানের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চলছে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ উঠেছে, মাস্ক না পরে বাইরে ঘোরাফেরা করায় তিনি ৩ প্রবীণ নাগরিককে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেন। নিজের মোবাইল ফোনে সেই ছবি ধারণ করেন এবং উপজেলার সরকারি ওয়েব সাইটে তা প্রকাশ করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সায়েমা হাসানকে মনিরামপুর উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এ ব্যাপারে গাংনীর ইউএনও দিলারা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ইউএনও এবং এসিল্যান্ড সরকারের মাঠ পর্যায়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তাদের সব সময় মানুষের কাছাকাছি থেকে কাজ করতে হয়। এ দুই পদের কর্মকর্তাদের জনমুখী এবং জনবান্ধব হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি শুধু ডিগ্রি কিংবা প্রশিক্ষণ দিয়ে নয়, মানবতাকে বড় করে দেখতে হবে। এজন্য পারিবারিক শিক্ষা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে তার প্রশংসার ব্যাপারে তিনি বলেন, নিজের প্রশংসার জন্য আমি কিছু করি না। সার্ভিসের জায়গা থেকে এবং মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে কাজ করে যাচ্ছি।
এসিল্যান্ড সায়েমা হাসান প্রসঙ্গে দিলারা রহমান বলেন, এ ধরনের আচরণ প্রশাসনের সবার জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সায়েমা হাসান বয়সে নবীন হওয়ার কারণেও এমনটি হতে পারে। অথবা কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকার কারণেও এটি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উচিত সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আরও আন্তরিক হয়ে জনগণের মধ্যে সরকারের সুফল পৌঁছে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এনটি