শনিবার (২৮ মার্চ) নগরের হাসপাতাল রোড, আলেকান্দা সড়ক, সিঅ্যান্ডবি রোড ও নথুল্লাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দেয়। এসময় সেনা ও পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন বাজার ও জনবহুল এলাকায় সাধারণ মানুষকে সচতেন করতে হ্যান্ড মাইকের সহায়তার প্রচারণা চালান।
এছাড়া গোটা বরিশাল জুড়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি, গনজমায়েত রোধ, বাজারদর নিয়ন্ত্রনসহ সরকারি বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
এদিকে শুক্রবার (২৭ মার্চ) জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলায় সব প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান, দোকান খোলা থাকবে। সব গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প-কারখানা নিজস্ব উদ্যোগে কার্যক্রম চালু রাখতে পারবে। চালু রাখার জন্য যেকোনো ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে এবং বন্দরের কার্যক্রম চালু থাকবে। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক প্রভৃতির কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী শনিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে বরিশালে ওষুধ ও অতি জরুরি পণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি চায়ের দোকান স্থায়ী ভাবে বন্ধ থাকবে।
এ আদেশ মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। আদেশ অমান্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এমএস/এবি