শনিবার (২৮ মার্চ) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও এবং ইছামতি ও মাকড়িছড়া চা বাগানের শ্রমিকরা ছুটির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন।
ধর্মঘটর বিষয়ে সাতগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চা-শ্রমিকদের ছুটি না হওয়ায় শমসেরনগর চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ছুটির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছে তারা।
চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন ‘বাংলাদেশীয় চা সংসদ’ এর সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান ও ফিনলে টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বাংলানিউজকে বলেন, সরকার ঘোষিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে ওষুধ/খাদ্য প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্পকারখানা/প্রতিষ্ঠান/বাজার/দোকান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে। সেই মোতাবেক আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চা বাগানের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, আমরা চা বাগানের ভেতরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক জোরদার করেছি। বাইরে থেকে কাউকে বাগানের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছি না। আবার বাগান থেকেও বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে। যাতে খুব প্রয়োজন না হলে কেউ বাগানের বাইরে না যান।
তিনি আরো বলেন, চা বাগানের কর্মক্ষেত্রটা ভিন্ন। শ্রমিকরা বাগানে কাজে গেলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম। কারণ তখন তারা বাগানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। এখন বাগানে চলছে চা গাছে পানি সরবরাহ করা। বাগান বন্ধ হলে পানির অভাবে রুগ্ন চা গাছগুলো মরা যাবে। এছাড়া শ্রমিকদের কাজ না থাকলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে থাকবে। এতে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রমিকদের ঘর নির্মাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা বাগানের চা-শ্রমিকদের মধ্যে নতুন ঘর তৈরিসহ পুরাতন ঘরগুলোও সংস্কার করে দিচ্ছি। যাতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে তাদের কষ্ট পেতে না হয়। হঠাৎ ছুটি ঘোষণা করা হলে এ কাজগুলো আটকে যাবে। আমাদের চা বাগানে কয়েক হাজার ক্যাজুয়্যাল (অস্থায়ী) শ্রমিক কাজ করে। চা বাগান বন্ধ হলে এ অস্থায়ী শ্রমিকদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
বিবিবি/আরআইএস/