এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দু’টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি কার্তুজের খোসা ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৮ মার্চ) ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বাংলানিউজকে জানান, লেদার ছুরিখাল এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান আসার খবর পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল সেখানে অবস্থান করছিল। এর কিছুক্ষণ পর পাঁচ থেকে ছয়জন মাদককারবারি একটি নৌকায় করে বাংলাদেশের ভূ-খন্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা নৌকা থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে মাদককারবারিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদককারবারিরা কেওড়া বনের দিকে পালিয়ে যান। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল থেকে তল্লাশি চালিয়ে এক বস্তা ইয়াবা, ২টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি কার্তুজের খোসা ও একটি ধারালো কিরিচসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিন রোহিঙ্গা যুবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিনজনই যুবক। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে। ওই বস্তার ভেতর থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সময় আহত হন নায়েব মঞ্জুর রহমান, বিজিবি সদস্য খোরশেদ ও মাহমুদুল হাসান।
ময়নাতদন্তের জন্য নিহত তিন জনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এসবি/আরআইএস