ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা সচেতনতায় মাইক হাতে উপজেলা চেয়ারম্যান

খোরশেদ আলম সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
করোনা সচেতনতায় মাইক হাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রচারণা চালাচ্ছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন। ছবি: বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইক হাতে প্রচারণা চালাচ্ছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন।

শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা কলোনির প্রত্যন্ত পল্লী গ্রামে তাকে মাইকিং করতে দেখা গেছে। এ কার্যক্রম এক সপ্তাহ ধরে চালাচ্ছেন তিনি।

 

জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) একটি আতঙ্কিত নাম। সারাবিশ্বে ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ জন এবং আক্রান্ত সারাবিশ্বে ৫ লাখের বেশি হলেও বাংলাদেশে চিকিৎসকসহ ৪৮ জন। সচেতনতাই প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণরোধের একমাত্র উপায় দাবি করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পরিচ্ছন্নতা, সতর্কতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় দেশের  শহরগুলো মেনে চললেও অনেকাংশে উদাসিন গ্রামীন জনপদ। অজ্ঞ, অশিক্ষিত, হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষগুলো সচেতন না হলে করোনায় বড় ভয়াবহতার আশঙ্কা করছেন সুশীল সমাজ।

গ্রামের অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত কর্মজীবী মানুষদের সচেতন করা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। সারাবিশ্ব প্রচারণা চললেও করোনা ভাইরাস কি সেটাও জানেন না লালমনিরহাটের তিস্তা-ধরলা চরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতা বাড়াতে গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রামে গ্রামে পাড়ায় মহল্লায় হাতে মাইক নিয়ে ছুটছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন। শুধু মাইকিং নয়। হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিচ্ছেন মাস্ক ও সাবান। প্রচার করছেন, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার আহবানও জানাচ্ছেন তিনি।  

তার প্রচারণার প্রশংসা করে সুধিজন সব জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানকে দেশের আসন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে এভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্র অবস্থা থেকেই জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। জনসাধারণের প্রতিটি দুর্যোগে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এখন জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জনসচেতনতা বাড়াতে পারলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই এ প্রচেষ্টা। নিজে বাঁচতে প্রতিবেশীকে সচেতন করা আবশ্যক তাই সবাইকে সাধ্যমত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।