শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন।
হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৪৬ জন, রায়পুরায় ১১৯, বেলাবতে ৪১, মনোহরদীতে ১১৭, শিবপুরে ৮৯ ও পলাশ উপজেলায় ৭৭ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, নরসিংদীতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়নি। যারাই বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। শুক্রবার পযর্ন্ত আগের ৩৯ জন প্রবাসীকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার পর তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ না থাকায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে জেলা পুলিশ। কোথাও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহ হলে সেই এলাকা লকডাউন ও আইসোলেশনে কুইক রেসপন্স টিম তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করবে। এই লক্ষ্যে নরসিংদী পুলিশ লাইনে এই কুইক রেসপন্স টিম একাধিকবার প্রয়োজনীয় মহড়া সম্পন্ন করেছে।
এদিকে সরকার ঘোষিত ছুটির দ্বিতীয় দিনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগমরোধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নরসিংদীতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার সকাল থেকে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রাখা নিশ্চিত করতে নরসিংদীতে অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।
এছাড়া প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
আরএ