শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তাদের সবাইকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, দুইজন নারী ও এক শিশু রয়েছে।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, শিবচর উপজেলার ইতালিফেরত এক প্রবাসীর সংস্পর্শে তার পরিবারের পাঁচ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হয়। পরে তাদের গত ১৬ মার্চ জেলা সদরের আড়াইশ শয্যার হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে দুই জন ও তিন জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ঢাকায়। পরবর্তীতে তারা সুস্থ হয়ে উঠলে শুক্রবার তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের ৮ম দিনেও শিবচরের বেশ কয়েকটি এলাকায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বেশকিছু পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার পর শিবচর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড, পাঁচ্চর ইউনিয়েনর একটি গ্রাম ও দক্ষিণ বহেরতলা ইউনিয়নের একটি গ্রামের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ে।
ফলে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে কমে গেছে লোক সমাগম। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
এছাড়া সদর, কালকিনি, শিবচর ও রাজৈর উপজেলার বেশকিছু এলাকার রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছেটাতে দেখা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। ১১ দিন পরে সুস্থ হলে পাঁচ জনকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন ১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
আরএ