তবে স্থানীয় মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য হটলাইন চালু করেছে জেলার প্রধান এই হাসপাতাল। সব ধরনের রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিনের মত শুক্রবার সকালেও হাসপাতালের মেঝে, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও হাসাপাতাল ভবনের সামনে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় হাসপাতালের চিত্র ছিল ভিন্ন। জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার, ওষুধ বিতরণ কাউন্টার ও প্যাথলজির সামনে রোগী ও রোগীর স্বজনদের উপচেপড়া ভিড় নেই। সুনসান নীরবতা। চিকিৎসকরা পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরে যে যার কক্ষে রয়েছেন।
একশ শয্যার হাসপাতালে সবসময় দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি থাকত। সেই হাসপাতালে বর্তমানে কোনো রোগী ভর্তি নেই ভাবতেই কেমন লাগে। শিশু, গাইনি, মেডিসিনসহ হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো এখন শূন্য। যেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের হাসপাতালের বেড পেতে লবিং গ্রুপিং করতে হয়, সেই বেডগুলো এখন শূন্য পড়ে আছে। শুধু বাগেরহাট সদর হাসপাতাল নয় জেলার ৯টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থাও প্রায় একই রকম।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) বেলফার হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে। খুব বেশি অসুস্থ না হলে কেউ হাসপাতালে আসছেন না। তারাই আসছেন যাদের বাড়িতে বসে চিকিৎসাসেবা নেওয়া সম্ভব না। ভিড় এড়াতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার পরামর্শের জন্য আমরা হটলাইন চালু করেছি। হটলাইনে আমরা তাদের টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছি। আমরা সব ধরনের রোগীদের সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি। সাধারণ রোগের জন্য হাসপাতালে না এসে, হটলাইনে ফোন করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছেন। গুরুতর সমস্যা ছাড়া কাউকে হাসপাতালে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আমরা ৫টি হটলাইন নাম্বার চালু করেছি সেখানে যোগাযোগ করলে রোগীরা সেবা পাবেন।
জরুরি প্রয়োজনে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের হটলাইন নম্বর-০১৭৬৮-১৫৬৮০৮, ০১৭৪২-৮২৭৭১২, ০১৩১১-০৭৮৮০২, ০১৭৬০-৬৪৬৫৬৯, ০১৭৯৯-৮০৪৬৬৪।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
আরএ