শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের প্রধান প্রধান শহরগুলো ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। আর এ দৃশ্যতে সন্তুষ্ট জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তবে এখনো বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লার ভেতরে আড্ডা ও সমাগম হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। এজন্য প্রধান প্রধান সড়কের পাশাপাশি অলিগলি ও পাড়া-মহল্লায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তা দাবি করেছেন অনেকেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন বলেন, সবাই মিলেই যারা এখনো ঘরে নেই তাদের বোঝাতে হবে যেন প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের না হয়। আমাদের কার্যক্রম প্রধান সড়কে নয়, শুধু আমাদের বাহিনীর সদস্যরা সব এলাকায় যাবে এবং সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেন, আমরা প্রতিটি স্থানেই পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তারা মানুষকে সচেতন করে বোঝাচ্ছেন ও বাড়ি ফেরাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকছেন। মানুষকে এখন নিজের ভালো বুঝতে হবে। সব স্থানেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রধান নির্বাহী আবুল আমিন জানান, মানুষ ঘরে থাকুক এটাই আমাদের আহ্বান। আমরা নিয়মিত আমাদের ছয়টি গাড়ি দিয়ে প্রতিটি এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে জীবাণুনাশক পানি ছিটাচ্ছি ও সড়ক জীবাণুমুক্ত করতে কাজ করছি। পানির সঙ্গে জীবাণুনাশক ব্লিচিং ও ক্লোরিন ব্যবহার করছি আমরা। একইসঙ্গে মশার ওষুধও ফগার মেশিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, নগরবাসীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় আমাদের সাধ্যমতো কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
আরবি/