ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘চিকিৎসকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ করাতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
‘চিকিৎসকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ করাতে হবে’

ঢাকা: চিকিৎসকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ করাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের প্রতি ‘নরম’ থেকে কাজ চালিয়ে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে পাঠানো সরঞ্জামাদি গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এসময় তার সঙ্গে অধিদপ্তরের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


 
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বিশেষ করে প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অন্য রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে এক প্রতিনিধি বলেন, এটা ঠিক যে কোথাও কোথাও এমন হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের একটু জ্বর আছে বা সর্দি-কাশি আছে তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে চাইছেন না চিকিৎসকেরা। এর জন্য আমরা একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। তবে তার ভাষা একটু কঠিন ছিল। সেটি কোনো কোনো চিকিৎসকের মনে আঘাত হানতে পারে।  

‘তাই আমরা আরেকটু ভেবে-চিন্তে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেবো। আমাকে স্বাচিপ (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) ও বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) নেতাদের সঙ্গে গতকাল রাতেও কথা দিয়েছে। তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছে যে, চিকিৎসকেরা কাজ করবেন। ’
 
চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে সরকার তাদের আইনতভাব বাধ্য করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিনিধি বলেন, তারাও (চিকিৎসক) মানুষ আমরাও মানুষ। জোর করে তো তাদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না। সরকার চাইলে আইনের প্রয়োগ করতেই পারে। সেই আইন আছে। কঠোর হওয়াই যায়। তবে এখন নরম থেকে কাজ চালিয়ে নিতে হবে।
 
তাহলে চিকিৎসকদের কাছে সরকার এবং জনগণ একরকম জিম্মি কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টাকে এভাবে দেখার সুযোগ নেই। তারাও মানুষ আমরাও মানুষ। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ করাতে হবে।
 
তবে কীভাবে বুঝিয়ে শুনিয়ে আর কেমন নরম করে কাজ করাতে হবে জানতে চাইলে তার কোনো জবাব দেননি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা। এক পর্যায়ে মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে এভাবে ‘ওপেনলি’ কথা না বলাই ভালো। প্রতিদিন আমরা ব্রিফিং করি। সেখানে কথা বলা যাবে।
 
এদিকে চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) অন্যরা ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে যেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে বলে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তবে অনেকেই স্থানীয়ভাবে পিপিই তৈরি করছেন। সেগুলো আবার অনেকেই কিনছেন। সে বিষয়টি নিয়ে আমি বলতে পারব না।
 
***চীন থেকে এলো করোনা শনাক্তকরণ কিট-পিপিই-মাস্ক
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।