বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের যে দাপট চলছে বাংলাদেশেও লেগেছে তার আঘাত। এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, কাকরাইল, মতিঝিল, টিকাটুলিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই। প্রতিটি সড়কই যানবাহন ও জনশূন্য।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (আগামী ২৬ মার্চ) থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিদের্শনা অব্যাহত থাকবে। তবে ব্যক্তিগত বাহন ব্যবহারে বাধা নেই।
গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল থেকেই গণপরিবহন কমে যায় রাজধানীতে। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীজুড়ে নেমে আছে সুনসান নীরবতা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জনশূন্য সড়কে মাঝে মধ্যে দু-একটি পুলিশের গাড়ি, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ছাড়া কোনো গণপরিবহন চোখে পড়েনি। এমন কী রিকশাও কম রাস্তায়।
প্রধান প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন-এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে এবং পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না বলে জানান। একইভাবে নৌযান, রেল, প্লেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
রাজধানীর সড়কগুলোর পাশাপাশি মার্কেট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস হলেও করোনার কারণে রাজধানীতে স্বাধীনতা দিবসের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। রাজধানী শহরের পাড়া, মহল্লার দোকানপাট বন্ধ এবং মহল্লার রাস্তায় কোনো যানবাহন চলছে না। কোনো কোনো এলাকায় দু’একটি মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। দু’একটি রিকশা দেখা গেলেও যাত্রী নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এসকে/এএ