ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

লালমনিরহাটে তামাক ও পশুরহাটে হাজারো মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
লালমনিরহাটে তামাক ও পশুরহাটে হাজারো মানুষ

লালমনিরহাট: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে সরকার বিশেষ কয়েকটি পণ্য ছাড়া হাটবাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও লালমনিরহাটে চলছে তামাক ও পশুর হাট। সমাগম হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের। 

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার মহিষখোচা কুষ্টারীর হাটে বসে তামাকের হাট। একই স্থানে সন্ধ্যায় বসে পশু বিক্রির হাট।

এর আগে, শিয়ালখোয়াহাটে বসে পশুরহাট।

জানা যায়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। যার ছোবলে সারাবিশ্বের প্রায় সাড়ে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটি সংক্রামণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত যানবাহন, হাট বাজারে প্রবেশে শিথিলতা জারি করেছে। এক সঙ্গে দুইজনের বেশি এবং তিন ফুটের কম দূরত্বে অবস্থানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওষুধ, মুদি দোকান, সার ও খাবার দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

সরকারের এ কাজ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা করতে সেনাসদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের অধিকাংশ পশু ও তামাক হাটে ক্রয়-বিক্রয় স্বাভাবিক রয়েছে। আবুল টোব্যাকোসহ বেশ কিছু কোম্পানি মার্কেটিং চালু রেখেছে। এসব হাটে সমাগম হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের। তাই এসব পশু-তামাকহাট বন্ধ রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট বাজার ইজারাদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিদের বলা হলেও কোনো কাজেই আসছে না। এক শ্রেণির অসাধু ইজারাদার নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চালিয়ে যাচ্ছেন হাট বাজার। ফলে বিশাল জনগোষ্ঠির সমাগমে করোনা সংক্রামণে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীসহ সচেতন সমাজ।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা বলেন, সকালে ওষুধ নিতে কুষ্টারীর হাটে গিয়ে দেখি কয়েক হাজার মানুষের সমাগম তামাক হাটে। এখনে হাট বসিয়ে ইজারা আদায় করছেন ইজারাদার।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আবুল টোব্যাকোর ডিবুতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেলসম্যানদের মার্কেটে না পাঠাতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে কুষ্টারীর হাটের ইজারাদারকে বলে তামাকহাটে জনসমাগম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিকেল পশুহাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৮৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। হাট বাজারসহ যেকোনো  জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। গ্রামীণ হাট বাজারে ব্যাপক সমাগম করোনা সংক্রামণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বলেও দাবি করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে বলেন, তামাক, সারসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে সরকার নিষেধ করেনি। তবে তামাকে জনসমাগম বেশি হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিক সমাগম না করতে মাইকিং করা হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও এডমিন বিভাগের জন্য সাত শতাধিক পিপিই সংগ্রহে রয়েছে। আরও ৩০০ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।