চট্টগ্রাম: ভোরবেলা একচিলতে মিষ্টি রোদ। তারপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে সে রোদের তীব্রতা।
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়েই চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
যথারীতি নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়েই শুরু হয় ঈদুল ফিতরের আনুষ্ঠানিকতা। সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নগরীতে এবার ২৪৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে।
জামাতে ইমামতি করেন জামেয়া আহম্মদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার অধ্য মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল কাদেরী।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় অর্ধ ল মুসল্লির সমাগম ঘটে এ জামাতে। এ মসজিদে সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের দ্বিতীয় জামাত।
এছাড়া নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের আরও একটি প্রধান জামাত। চট্টগ্রামের অন্যান্য স্থানেও একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে প্রথম ঈদ জামাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৯টার দিকে নামে মুষলধারে বৃষ্টি। এক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে কিছুটা কমে এলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এখনও। বৃষ্টির কারণে মুসল্লিদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের ভেতর।
ঈদ উপলে নগরভবনসহ নগরীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, এতিমখানা এবং জেলা প্রশাসনের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত চট্টগ্রামের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১০