ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা ভাইরাস: সিলেটের সব দৈনিকের প্রকাশনা বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
করোনা ভাইরাস: সিলেটের সব দৈনিকের প্রকাশনা বন্ধ ছবি: সংগৃহীত

সিলেট: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সিলেটের সব স্থানীয় দৈনিকের প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হকারদের পত্রিকা বিক্রি বন্ধ এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কমর্কর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতেই পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সম্পাদকরা। এছাড়া, করোনা ভাইরাস রোধে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণা, গণপরিবহন বন্ধের কারণেও পত্রিকা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর সমস্যাও তুলে ধরেন তারা।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে সংবাদকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষায় মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয় দৈনিক শ্যামল সিলেট এর প্রকাশনা। বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবদুল মুকিত। তবে পত্রিকার অনলাইন ভার্সন চালু রয়েছে।

পরদিন বুধবার (২৫ মার্চ) সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয় সিলেটের প্রাচীনতম দৈনিক যুগভেরী ও দৈনিক একাত্তরের কথার প্রকাশনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সিলেটের ডাক, দৈনিক জালালাবাদ, দৈনিক সিলেটবাণী, দৈনিক সবুজ সিলেট, দৈনিক শুভ প্রতিদিন, দৈনিক সিলেট মিরর, দৈনিক জৈন্তাবার্তা ও সিলেটের দিনকালের প্রকাশনাও সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের ডাক, জালালাবাদ, একাত্তরের কথার অনলাইন ভার্সন চালু থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পত্রিকাটির দায়িত্বশীলরা।

দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রধান আজিজ আহমদ সেলিম বলেন, ‘২৬ মার্চ পত্রিকার বর্ষপূর্তি সংখ্যা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তরপূর্বের প্রকাশনা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় পত্রিকা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কেননা অনেক প্রতিষ্ঠানও পত্রিকা না রেখে ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে হকারদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ’

এ বিষয়ে দৈনিক মিরর সম্পাদক আহমেদ নুর বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে, গণপরিবহন বন্ধ এবং পত্রিকা বিপণনজনিত সমস্যাসহ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে প্রকাশনা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’

উত্তরপূর্ব পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাপস দাশ পুরকায়স্থ বলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় সাংবাদিক ও হকাররা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকার পিপিআই দিলে অন্তত প্রকাশনা চালু রাখা যেত। ’

দৈনিক শ্যামল সিলেটের নির্বাহী সম্পাদক আবদুল মুকিত বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী হানা দিয়েছে। বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ বাড়ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সিলেট। তাই সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িতদের সুরক্ষার চিন্তা করেই আগে থেকে পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। কেননা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সংকটের কারণে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িতদের পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিআই) দিতে পারছি না। তবে পত্রিকা প্রকাশনা স্থগিত থাকলেও শ্যামল সিলেটের অনলাইন ভার্সন চালু রয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এনইউ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad