ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কলাপাড়ায় ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে ১১ গ্রামের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
কলাপাড়ায় ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে ১১ গ্রামের মানুষ

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা খালের উপর নির্মিত গামইরতলা আয়রন ব্রিজটি ভেঙে ১১টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

বুধবার (২৫ মার্চ) ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। সেসময় রাসেল, আসাদুল ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার সময় খালে পড়ে আহত হন।

 

প্রত্যক্ষদর্শী মো. মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে খালের পাড়ে গিয়ে দেখতে পান ব্রিজটির ৮০ ভাগই ভেঙে পড়ে খালের পানিতে ডুবে গেছে।
গামইরতলা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজটি দিয়ে নীলগঞ্জের সবজি চাষিরাসহ মজিদপুর, কুমিরমারা, বাইনতলা, এলেমপুর, পূর্বসোনাতলা, ফরিদগঞ্জ, গামইরতলা, গুটাবাছা, নেয়ামতপুর, ইসলামপুর ও নাওভাঙ্গা গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন।  

তিনি আরও জানান, গামইরতলা বিদ্যালয়ের ৬০ ভাগ শিশু এই ব্রিজটি পার হয়ে স্কুলে আসে। কিন্তু বুধবার সকালে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এখন সমস্যার শেষ নেই।  

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই ব্রিজটি নির্মাণ করে। তখনই নিম্নমানের স্লাব ও আয়রন স্ট্রাকচার খারাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এখন ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত একটি বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা করার দাবি গ্রামের মানুষের।

বুধবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  

এলজিইডি কলাপাড়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভেঙে পড়া গামইরতলার ৮৮ মিটার দীর্ঘ আয়রন ব্রিজটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ব্রিজটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।