বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল পৌনে ৬টায় এমন দৃশ্যই ছিল হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোড এলাকার প্রধান সড়কে। শুধু টাউন হল রোডই নয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনার অংশ হিসেবে সন্ধ্যা নামার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় শহরে শতভাগ দোকানপাট। শুধু খোলা থাকছে ওষুধ এবং মুদিমালের দোকান। করোনা ভাইরাস আক্রমণের শুরুর দিকে হবিগঞ্জে নির্দেশনা মানতে অনেকটা অবহেলা হলেও বর্তমানে সচেতন হয়ে উঠেছেন সব শ্রেণি-পেশার লোকজন।
শহরের শ্যামলী এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সামছুল আলম বাংলানিউজকে জানান, দিনের বেলা প্রতিষ্ঠানে কাস্টমার এলেও বিকেলের দিক থেকেই কমতে থাকে ক্রেতার উপস্থিতিতি। তিনি নিজেও সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে চলে যান।
টাউন হল রোডের নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও প্রথম দিন অনেকেই তা মানেননি। কিন্তু বুধবার পুরোদমেই ব্যবসায়ীরা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন। শহরবাসীর মধ্যে অজানা ভয় বিরাজ করছে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, আগামী শনিবার থেকে নিন্ম আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়া শুরু হবে। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে বরাদ্দ এসেছে। এর বাইরে আমরা কারও কাছে সহযোগিতা না চাইলেও অনেকেই এগিয়ে আসছেন সহায়তার জন্য। আমরা তা সাদরে গ্রহণ করছি। সবাই মিলে আমরা পরিস্থিতির মোকাবেল করতে চাই।
এদিকে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত হবিগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ জনে। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রয়েছেন একজন। ৪৪ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক অমিতাভ পরাগ তালুকদার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এনটি