ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১০ অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

তপু আহম্মেদ, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১০

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পর এবার গোপালপুরে ১০ অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।



মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা প্রসাশকসহ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও গোপালপুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের মীর হোসেনের (৫০) একটি অসুস্থ বলদ জবাই ও মাংস কাটার কাজ যারা করেছেন তারাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

ঘটনাটি সোমবার রাতে জানাজানি হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তফা আশরাফ রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি আক্রান্ত আকবর আলী, শাহাদৎ হোসেন, মাছুম ও ফরহাদকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে তারা রাতেই চিকিৎসা নিতে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
 
অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্তরা হচ্ছেন- দণি বিলডগা গ্রামের শহীদ আলীর পুত্র মাছুম (২৫), আমির হোসেনের পুত্র শাহাদৎ হোসেন (২৫), মুজাফ্ফর আলীর পুত্র আকবর হোসেন (৪৫), নূর আলীর পুত্র ফরহাদ (২৫), মফিজ উদ্দিনের পুত্র বাদশা মিয়া (২৫), রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী জ্যোৎস্না খাতুন (২২), সাহেব আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩২), আব্দুর রশিদ মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫), আব্দুল হাই মিয়ার স্ত্রী মালিদা খাতুন ও পার্শ্ববর্তী বনমালী গ্রামের খোকা মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৪৫)।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এলাকায় সব গবাদি পশুকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে গোপালপুরে জনসাধারণের ভয়ের কিছু নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুরাইয়া বেগম জানান, আমারা বাজার মনিটরিংসহ রোগ প্রতিষেধক টিকা দেওয়া অব্যহত রেখেছি। আশা করি গোপালপুরে ভয়ের কিছু নেই। বুধবার ঝাওয়াইলের ভেঙ্গুলা গরুর হাট মনিটরিং করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।