ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের ছুটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের ছুটি

ঢাকা: ২৬ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।

সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি, এর সঙ্গে ২৭-২৮ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে।

এর সঙ্গে ২৯ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ৩-৪ এপ্রিল আবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার সব খোলা থাকবে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস বিস্তৃত হওয়ার কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনোভাবেই যেন মানুষ জরুরি বিষয় ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসে। এর আগে যখন আমরা স্কুলগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছিলাম দেখেছি যে, বেশকিছু সংখ্যক পরিবার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ভীড় করেছে। পরবর্তীতে তাদের ইন্টারফেয়ার করে ফেরত নিয়ে আসতে হয়েছে। তবে এসময় যদি প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয় অনলাইনে করতে হবে। যারা প্রয়োজন মনে করবে তারা খোলা রাখবে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা-এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি যেসব প্রয়োজন- যেমন ফায়ার ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, ডিজ্যাস্টারের অফিস-এগুলো।

কাল ও পরশু খোলা থাকবে কিনা-এ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, কাল ও পরশু খোলা থাকবে। কারণ, আজকে বন্ধ করে দেওয়া হলে মানুষ বাইরে চলতে পারবে না।

মুখ্য সচিব বলেন, গণপরিবহন পরিহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে। ২৪ মার্চ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের জন্য ও সতর্কতামূলক বিষয় হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য নিয়োজিত থাকবে। করোনার কারণে জেলা প্রসাশকদের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ’

আহমেদ কায়কাউস বলেন, জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারে পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন তাদের অবশ্যই করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য পর‌্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়িচালক এবং সহকারীদের অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহারসহ পর‌্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, লকডাউন বলে কিছু নেই। দরকার সোশ্যাল ডিসট্যান্স। সরকার সবসময় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেছেন। নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। বাংলাদেশ কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের ডাক্তারদের ভালো করে তোলার সামর্থ্য আছে। আতঙ্কের কিছু নেই।

এখন এমন একটি সময় এসেছে যখন সমস্ত জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের পুলিশ-আনসার একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা সাংবাদিকরাও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিন্তু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, ২৬ মার্চের সব অনুষ্ঠানও কিন্তু বাতিল করেছেন। জনগণের দিকে তাকিয়ে এটা করেছেন তিনি।

লকডাউন সায়েন্টিফিক নয়, গণপরিবহন চালু থাকবে কোনোভাবেই বন্ধ করা হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি শহরে যায় বা গ্রামে যায় তাহলে চলাচল প্রয়োজন হতে পারে। বাড়িতে থাকার জন্য বলা হয়েছে গণপরিবহন ব্যবহারে সতর্ক করা হচ্ছে।

বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, কীভাবে রোগীকে প্রাথমিক শনাক্ত করবেন কোনটা নিউমোনিয়া, কোনটা জেনারেল ফ্লু কীভাবে বাছাই করবেন, আমাদের যে চিকিৎসা প্রটোকল আছে তারা এটাও শেয়ার করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

দেশে ৩৩ জনের সংক্রমণ ও তিন জনের মৃত্যুর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব নির্দেশনার কথা জানিয়ে দেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।