এই নিয়ে জেলায় মোট ৪৩৮ জন বিদেশফেরতকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা জানিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এর মধ্যে ৩২ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে শেষ হওয়ায় বর্তমানে মোট ৪০৬ জন হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছে।
শনিবার (২১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলায় নতুন করে আরও ১৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদেশফেরতকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় দুপচাঁচিয়া উপজেলায়।
জানা গেছে, শনিবার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। এছাড়া সদরে উপজেলায় ১০ জনকে, আদমদিঘীতে ৪ জনকে, শাজাহানপুরে ৫ জনকে, কাহালুতে ১৭ জনকে, সারিয়াকান্দিতে ৪ জনকে, গাবতলীতে ১৫ জনকে, শিবগঞ্জে ২৪ জনকে, সোনাতলায় ৩ জনকে, নন্দীগ্রামে ১৪ জনকে, ধুনটে ৩ জনকে এবং শেরপুরে ২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর আগের দিন শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে ৩০৮ জনকে রাখা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ বিকেল পর্যন্ত সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালোয়েশিয়া, ইতালি, দুবাই, কাতার, কুয়েত, আমেরিকা এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতফেরত ৪০৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং বগুড়ায় মোট ৩২ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে শেষ হয়েছে। এদের সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগ।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছেন।
বাংলাদশে সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এএটি
