ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা: রেলস্টেশনে কর্মসূচিতেও অভাব সচেতনতার 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
করোনা: রেলস্টেশনে কর্মসূচিতেও অভাব সচেতনতার 

ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী দেশজুড়ে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।  

এরই আলোকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরও নিয়েছে নানা উদ্যোগ। তবে উদ্যোগ থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেভাবে সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি।

অসচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরাও।  

জনসমাগম কিংবা গণজমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে মানুষের ভিড়।  

বুধবার (১৮ মার্চ) বাংলানিউজের জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক শোয়েব মিথুনের ক্যামেরায় উঠে এসেছে কমলাপুর রেলস্টেশনের এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা।  

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনকরোনা প্রতিরোধে কমপক্ষে মানুষে-মানুষে দূরত্ব দুইমিটার রাখার কথা বলা হলেও কমলাপুরে দেখা গেছে প্রচুর জনসমাগম। কাউকে এই দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি।  

কমলাপুর রেলস্টেশনমাস্ক পরলেও করোনা নিয়ে সেভাবে সচেতনতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি যাত্রীদের মধ্যে।  

কমলাপুর রেলস্টেশনকরোনা ভাইরাসের কথা শুনে তা প্রতিরোধে মাস্ক পরেছেন একযাত্রী।  

রেলস্টেশন করোনা ঠেকাতে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে- যতটা সম্ভব মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে যদি কারো সঙ্গে দেখা করতেই হয় কিংবা কোথায়ও যেতে হয় তাহলে যেন সম্পূর্ণ শারীরিক সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে কমলাপুরে কাউকে এ নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি। একজনের সঙ্গে লেগে আরেকজন বসে কিংবা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।  

কমলাপুর রেলস্টেশনহাঁটা-চলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

কমলাপুর রেলস্টেশন অনেককে আবার স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে গাদাগাদি করে শুয়ে-বসে থাকতেও দেখা গেছে।  

কমলাপুর রেলস্টেশনকরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরেছেন এক বৃদ্ধা।  

কমলাপুর রেলস্টেশনকরোনা প্রতিরোধে সাবান-পানি অথবা অ্যালকোহল আছে এমন সল্যুশন দিয়ে ঘনঘন হাত ধোয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই ট্রেন থেকে নামা কিংবা উঠার আগে অনেককে স্টেশনে হাত-মুখ ধুতেও দেখা গেছে।  

কমলাপুর রেলস্টেশনট্রেন ভ্রমণের আগে কিংবা ঢাকায় ফেরার পর রেলস্টেশনে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখছেন রেলওয়ের কর্মীরা। তবে রেলকর্মীদের মাস্ক কিংবা হাতের গ্লাভস পরতে দেখা যায়নি।  
রেলস্টেশনে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করছেন রেলকর্মীরা। জীবাণুমুক্ত হওয়ার এটি ব্যবহার করলেও অনেককে লাইনে একজনের সঙ্গে আরেকজনকে লেগে থাকতে দেখা গেছে।  

হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে যাত্রীদের।  দুইমিটার দূরে থাক কাউকে সামান্য দূরে থাকতেও দেখা যায়নি। হাত ধোঁয়া ও হ্যান্ডস্যানিটাইজান ব্যবহারের বিষয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা দিয়ে অনুরোধ করছে যাত্রীদের।  টিকিটের দীর্ঘলাইন-একজনের সঙ্গে আরেকজন রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ছিল মানুষের গাদাগাদি পরিস্থিতি। এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।