ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি হলেই সচিবালয়ে প্রবেশ নয়

গৌতম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি হলেই সচিবালয়ে প্রবেশ নয় থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা: অবশেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আসা ভিজিটরদের থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি হলেই সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সোমবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে এ স্ক্যান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে বেলা বিকেল পর্যন্ত কয়েকবার গেটে গিয়ে দেখা গেছে।

যখনই কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে যাচ্ছে তখনই তাকে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সচিবালয় গেইটে কর্মরত সচিবালয়স্থ ক্লিনিকের নার্সিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রোববার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। রোববার আমরা প্রায় দেড় হাজার দর্শনার্থীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছি। আজ কেবিনেট বৈঠক থাকায় দর্শনার্থী কম থাকায় সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশ’ জনের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা শুধু দর্শনার্থীদের পরীক্ষা করছি। সচিবালয়ে নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরীক্ষা করছি না। সাধারণত ১০১ ডিগ্রি ও এর ওপরের তাপমাত্রা হলে সচিবালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর নিচে সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সচিবালয়স্থ ক্লিনিক থেকে গেটে রোববার এ হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। হেল্পডেস্কে একজন চিকিৎসক, দু’জন নার্স ও একজন স্যানেটাইজার ইন্সপেক্টর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছি।

সচিবালয়ে আসা এক দর্শনার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঢোকার সময় হঠাৎ করে আমাকে থামিয়ে কপালে একটি মেশিন দিয়ে একটু ধরে বলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আপনি যেতে পারেন। দেশের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে প্রথম থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। দেরিতে হলেও করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের প্রাথমিক এ উদ্যোগ নেওয়ায় আমি বেশ খুশি।

এদিকে সোমবার সকালে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী, বাকি দু’জন শিশু।  তারা আগের আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য। এর আগে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দু’জন। সর্বমোট পাঁচজন রোগী হাসপাতলে আছেন। এ পর্যন্ত দেশে আট জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।  এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

তিনি বলেন, সর্বমোট ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ১০ জন। এছাড়া চারজন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।