ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুজিববর্ষেই সাগর-রুনি হত্যার বিচার চান সাংবাদিক নেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
মুজিববর্ষেই সাগর-রুনি হত্যার বিচার চান সাংবাদিক নেতারা সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার ঘটনার পর পরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করা হবে।’ ঘটনার আট বছর পার হলেও চার্জশিট দিতে পারেনি সরকার। চার্জশিট দিতে ৭২ বার সময় নেওয়া হয়েছে। আমরা কার ওপর ভরসা রাখবো, কোথায় যাবো। তবে মুবিজবর্ষের মধ্যেই সাংবাদিক দম্পতির হত্যার বিচার সম্পন্ন না হলে রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

রোববার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সাগর-রুনি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি জমার আগে সমাবেশে এ কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যার আট বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো ক্লু বের করতে পারেনি প্রশাসন।

আমরা কার ওপর ভরসা রাখবো। তবে আস্থার জায়গা হলো প্রশাসনেও কিছু ভালো মানুষ আছেন, যাদের ভরসা করা যায়। প্রযুক্তির যুগে কোনো অপরাধীকে আটক করা এক মুহূর্তের বিষয় প্রশাসনের জন্য। আমরা মুজিববর্ষে আলোচিত এই ঘটনার বিচার দেখতে চাই।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, এর আগে সাংবাদিক দম্পতি হত্যার বিষয়ে আন্দোলনে সাংবাদিক সমাজ এক ছিল। আবার আমাদের সহকর্মীর হত্যার বিচার দাবিতে আমরা এক হয়ে আন্দোলন কর্মসূচি দিতে চাই। এ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, আমরা এর আগে সাগর-রুনির হত্যার বিচার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। আমরা পেশাদার সাংবাদিক, রাজপথে এসে আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আশা করি, সরকার এ হত্যার বিচার সম্পন্ন করবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সাগর-রুনির হত্যার বিচার পাইনি বলেই দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। আমরা আর কোনো সাংবাদিক নির্যাতন দেখতে চায় না।

সিনিয়র সাংবাদিক পুলক ঘটক বলেন, একজন ডিসি কত বড় সন্ত্রাসী হলে রাতের আঁধারে আমার ভাইকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শাস্তি দিতে পারেন। মেহেরপুর জেলায় মুখোশ পরে আমার ভাইকে নির্যাতন করা হয়, তার কোনো বিচার হয় না। আমরা এই নির্যাতন আর দেখতে চাই না, সব ঘটনার বিচার চাই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর পরিচালনায় এবং সংগঠনটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে সিনিয়র সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।

সবশেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।