এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে বিভাগীয় প্রশাসন।
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেন।
পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে বাড়িতে ‘আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা’ পাওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে সাংবাদিক আরিফের সহকর্মী ও পরিবারের দাবি, একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন করায় জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ফাঁসিয়েছেন।
মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জেলে পাঠানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি আমলে নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফফার খান শনিবার (১৪ মার্চ) বাংলানিউজকে বলেন, ওটা আমরা (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে খোঁজ-খবর নিতে বলেছি। আশা করি কালকের (রোববার, ১৫ মার্চ) মধ্যে ফিডব্যাক পাবো। তখন প্রয়োজন হলে অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এম. তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) চলে গেছেন। তিনি স্টেটমেন্ট নিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখানে টাস্কফোর্স অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট ভিন্ন বিষয়। আমরা আশা করি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
জানতে চাইলে রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমি কুড়িগ্রামে আছি। এখানে সবার স্টেটমেন্ট নিচ্ছি। দুই পক্ষ এবং অন্যান্যদের স্টেটমেন্ট নিচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্টটা সাবমিট করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/এমএ