গতকাল শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে ইমিগ্রেশন এলাকায় ছিল বাংলাদেশিদের উপচেপড়া ভিড়। এর পর থেক জনশুন্য হয়ে পড়ে ইমিগ্রেশন।
ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে বাংলাদেশি ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এক মাস ভারতে প্রবেশ বন্ধ থাকলে আমদানি বাণিজ্যে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হতে পার। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রীর বাজারে দাম বাড়ার শঙ্কাও রয়েছে ।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ভারতে যেতে না পারলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধও হতে পারে। তবে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বেড়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বাণিজ্যিক বিষয়ে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা চালুতে সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শুক্রবার ১৩ মার্চ বিকেল ৫টার পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতীয় ভিসায় কেউ ভারতে প্রবেশ করেনি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আগামী ১৫ এপ্রিল এ আদেশ বহাল থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়া বন্ধ হলেও ভারতীয়রা স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাদেশে আসছেন এবং বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
আরএ