তার একান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা বন্যপ্রাণীর সেবাকেন্দ্রের নাম ‘সোল’। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘সেভ আওয়ার আনপ্রোটেক্টেড লাইফ’ (আমাদের বিপন্ন জীবনদের সংরক্ষণ)।
জানা যায়, বাংলাদেশের অন্যতম বন্যপ্রাণী গবেষক ছিলেন তানিয়া খান। বন্যপ্রাণী বিষয়ক অনেক গবেষণা পুস্তক, ম্যাগাজিন ও ছোট-বড় প্রকাশনায় তার ক্যামেরায় তোলা অজস্র ছবি ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে তৎকালীন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শামসুল মুহিত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ধারণা গত বছর ঘুমের মধ্যেই হার্টঅ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন তিনি। উনার সাড়াশব্দ না পেয়ে সকাল ১০ থেকে ১১টার দিকে লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে উনাকে মৃত অবস্থায় পায়। মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে মৌলভীবাজার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চারদিন ইউসিইউতে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসছিলেন।
তানিয়া খান ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার এম মুনির আহমেদের স্ত্রী। ২০১৫ সালে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে তানিয়া খান বন্যপ্রাণী গবেষণার কাজে মৌলভীবাজারেই থেকে যান। বৈবাহিক জীবনে তিনি তিন মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে বলেও জানান শামসুল মুহিত চৌধুরী।
তানিয়া খানের বহুদিনের পরিচিত ওই এলাকার সাদেক মিয়া তার রেখে যাওয়া অবশিষ্ট প্রাণীদের দেখভাল করছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আপার সঙ্গে আমার ১৮ বছরের পরিচয়। তাকে নিয়ে সিলেটের অনেক জায়গায় ছবি তুলতে গিয়েছি। তার কাছ থেকেই শিখেছি কিভাবে আহত প্রাণীদের সুস্থ করে তুলতে হয়। তানিয়া আপার রেখে যাওয়া বন্যপ্রাণীদের সঠিকভাবে সেবা-শুশ্রুষা বা তার অসমাপ্ত কাজগুলো করতে পারলেই তার আত্মার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারবো।
আগত বন্যপ্রাণী নিয়ে দিনরাত কাজ করতে গিয়ে নিজে শরীরের প্রতি তানিয়া আপা যত্নটত্ন নেননি ততটা বলেও জানান সাদেক মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
বিবিবি/এএটি