বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় সৌদি আরব থেকে আসা এই যাত্রীরা ঢাকা থেকে সিলেট যান। কিন্তু বিমানবন্দরে থার্মাল স্কানারে করোনা পরীক্ষা করার কেউ-ই উপস্থিত ছিলেন না।
বিমানের ফ্লাইটে সিলেট যাওয়া যাত্রী জকিগঞ্জের রাসেল আহমদ বাংলানিউজকে জানান, সৌদি থেকে তারা বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সিলেট। কিন্তু বিমানবন্দরে আসার পর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কথা বলে তাদের আটকে রাখা হয়।
কিন্তু চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টা তাদের বসিয়ে রাখে পুলিশ। এ কারণে তাদের নিতে আসা স্বজনরাও ভোগান্তিতে পড়েন।
এক নারীসহ আটকে পড়া ১২ যাত্রীর সাতজন সিলেটের, তিনজন মৌলভীবাজার এবং দুইজন সুনামগঞ্জের।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ ভঅরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসক না থাকায় যাত্রীদের আটকে রাখা হয়। এর আগে বিকেলে ঢাকা থেকে আসা বিজি-৫০৫ ফ্লাইটে আসা যাত্রীরাও স্ক্যান না করেই বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তবে ওই ফ্লাইটে কোনো বিদেশ ফেরত যাত্রী ছিলেন না। তারপরও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে আগে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য অ্যানালগ থার্মোমিটার ছিল। যা পুরোপুরি কাজ করছিল না। এরপর মঙ্গলবার নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়। এর জন্য তিনজন পরীক্ষকও নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা চলে যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেদ্দা থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটে সিলেটে আসা যাত্রীদেরও অভিযোগ ছিল করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ছাড়াই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় ফ্লাইট আছে, এমন শিডিউল পরীক্ষকরা জানতেন না। তবে শুক্রবার থেকে তারা লোকজন বাড়িয়ে দুটি শিডিউলে কাজ করবেন।
রাত ৯ টা ২০ মিনিট নাগাদ পরীক্ষকরা পৌঁছে তাদের পরীক্ষাসম্পন্ন করে ছেড়েছেন বলে জানান সৌদি ফেরত যাত্রী রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এনইউ/ এমএ