ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতীয় নাগরিককে পাসপোর্ট: ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
ভারতীয় নাগরিককে পাসপোর্ট: ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দুদক (লোগো)

রাজশাহী: ভারতীয় এক নাগরিককে পাসপোর্ট করে দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সাবেক আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পপতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ।

এর আগে গতকাল বুধবার (১১ মার্চ) এ মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন।

পুলিশ প্রতিবেদন গোপন করে ভারতীয় নাগরিকের জন্য পাসপোর্ট তৈরি, ইস্যু ও বিতরণসহ যাবতীয় কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট মূল রেকর্ড গায়েব করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

মামলায় হাফেজ আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তাকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের ঠিকানায় তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম, উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আলমাস উদ্দিন, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল ওয়াদুদ, অফিস সহায়ক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) হুমায়ন কবির, এমএলএসএস (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) রঞ্জু লাল সরকার এবং দপ্তরি ইব্রাহিম হোসেন।

এদের মধ্যে আবজাউল আলম বর্তমানে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেলোয়ার আগারগাঁও অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট। আর আলমাস উদ্দিন জয়পুরহাট, আব্দুল ওয়াদুদ রাজশাহী এবং ইব্রাহিম গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত। আর হুমায়ুন ও রঞ্জু সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালে ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ রাজশাহীর মিথ্যা ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাসপোর্ট অফিসের অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরস্পরের যোগসাজশে সব প্রক্রিয়া শেষ করেন।

পুলিশের প্রতিবেদন আবেদনের বিপক্ষে এলেও তারা তা গোপন করে পাসপোর্ট তৈরি করে বিতরণ করে দেন। হাফেজ আহম্মেদ ওই পাসপোর্ট নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরব যান। তার ফেরার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে ওই আবেদনের মূল রেকর্ডপত্র গায়েব করে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসের তদন্তে বিষয়টি প্রমাণ হলে পাসপোর্টটি বাতিল করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এসএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।