ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আক্কেলপুরে ইতালি প্রবাসী যুবক ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
আক্কেলপুরে ইতালি প্রবাসী যুবক ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ হোম কোয়ারেন্টাইন

জয়পুরহাট: ইতালি থেকে আসা আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক যুবক তার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরে ভাড়া বাসায় উঠতে না পেরে পরিবার নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

খবর পেয়ে বুধবার (১১ মার্চ) রাত ৯টায় জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া, আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ একটি মেডিক্যাল টিম উপজেলার আবাদপুর গ্রামে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ওই যুবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ঘোষণা দেন।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া বলেন, যদি কেউ বিদেশ থেকে দেশে আসেন তাহলে তাকে সিভিল সার্জন অফিসে রিপোর্ট করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু আক্কেলপুরের আনোয়ার হোসেন নামে যুবক বুধবার (১১ মার্চ) বিকেলে ইতালি থেকে গ্রামের বাড়ি এলেও কোনো রিপোর্ট করেননি।

আমরা খবর পেয়ে রাত ৯টায় তার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। আমরা ওই যুবকের শরীরের করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পায়নি। আমরা তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। তিনি ১৪ দিন হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকবেন।

ইতালি প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি বুধবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাই। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাস যোগে বিকেলে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। রাত ৯টার দিকে সিভিল সার্জনসহ একটি মেডিক্যাল টিম গ্রামের বাড়ি এসে আমাকে ১৪ দিন একাই থাকতে বলেছেন।

আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আমরা আক্কেলপুর পৌর শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকি। বুধবার বিকেলে আমার স্বামী ভাড়া বাসায় ওঠার কথা ছিল। কিন্তু বাসার অন্য ভাড়াটিয়াদের আপত্তির কারণে আমরা বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আগাম প্রস্ততি হিসেবে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ২০ শয্যা বিশিষ্ট বেড এবং চার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে শয্যা প্রস্তুত  করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া বলেন, জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি শহরের ধানমন্ডি এলাকার পুরাতন হাসপাতালে ১০০ শয্যা রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও জেলার স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও জনবসতি এলাকাগুলোতে সচেতনতা তৈরি এবং লিফলেট বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জয়পুরহাটবাসীকে কোনো ধরনের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।