মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় মাদারীপুর এলজিইডি অফিসে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সাংবাদিক সাবরীন জেরিন জাতীয় দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের মাদারীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
হামলার শিকার সাংবাদিক সাবরীন জেরিনের স্বামী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞাপন প্রকাশের কথা বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেরিনকে ডেকে নেন এলজিইডি অফিসের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন। অফিসে যাওয়ার পর তিনি বিজ্ঞাপন না দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় স্ত্রীর ফোন পেয়ে আমি এলজিইডি অফিসে গেলে নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ঠিকাদার আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। এসময় আমার স্ত্রীর তলপেটে ৭/৮টি লাথি, কিলঘুষি, চড়-থাপ্পর ও চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে। তাদের হামলায় আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, মারধরের সময় নাসির উদ্দীন বলেন ‘তুই কিসের সাংবাদিক। তোদের মত কত সাংবাদিক আমি জীবনে মেরেছি। কেউ আমার কিছু করতে পারেনি। তুই যা পারিস তাই করিস’। এ সময় চিৎকারে শুনে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করেন।
রাতেই মাদারীপুর সদর থানায় হামলার শিকার সাংবাদিক সাবরীনের স্বামী আবদুল্লাহ আল মামুন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বদরুল আলম মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এক নারী সাংবাদিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। যেহেতু দুইপক্ষ অভিযোগ দিয়েছে, আমরা এটা তদন্ত করছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। তবে আমি মনে করি যা হয়েছে এ পর্যন্তই থাকা উচিত। আমাদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। দুইপক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
আরএ/এজে