ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে প্রকাশ সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে প্রকাশ সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: সত্যতা যাচাই না করে সংবাদমাধ্যমে ‘কাল্পনিক’ তালিকা প্রকাশ করা কোনোভাবেই সমীচীন নয় বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

এ সময় সম্প্রতি গ্রেফতার পাপিয়াকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছু কাল্পনিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

আমি মনে করি, সত্যতা যাচাই না করে এ ধরনের তালিকা প্রকাশ কোনোভাবেই সমীচীন নয়। যদি কেউ করে থাকে, সেটি পত্রিকা হোক, অনলাইনে হোক বা অন্যভাবে হোক সেটার দায় তারা এড়াতে পারেন না। ’

‘আমি কাগজে দেখেছি, আমাদের একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন। কেউ সংক্ষুব্ধ হলে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই পারেন। সেটি তার সাংবিধানিক অধিকার। আর যাচাই বাছাই না করে দায়িত্বশীল পত্রিকা কিংবা কোনো দায়িত্বশীল অনলাইন, অথবা দায়িত্বশীল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ করা কোনোভাবেই দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়ে না। সুতরাং এই দায়িত্বহীন আচরণ যদি কেউ করে থাকেন, দায়িত্বহীনতার দায় তাকে নিতে হবে। ’


‘বিএনপি করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করছে’-এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। বিএনপি এই করোনা ভাইরাস নিয়ে জনগণের জন্য কি করেছে? তারা শুধুমাত্র ভুল খুঁজে বেড়ানোর রাজনীতিটা করছেন। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, এ ব্যাপারে একটু পড়াশোনা করার জন্য। কারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তকে সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।  

‘সংক্রমিত হওয়ার ১৫ দিন পরে তার দেহে করোনা ভাইরাস আছে কি-না সেটি নির্ণয় সম্ভব হয়। সুতরাং বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বিদেশ থেকে আসা বাঙালিরা স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করলেও সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, পরবর্তীতে তাদের দেহে সেটি পাওয়া গেছে, যেটি অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ঘটেছে। ’

অনেক উন্নত দেশও পূর্ণ প্রস্তুতি সত্ত্বেও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পারেনি জানিয়ে ড. হাছান বলেন, সরকার সময়োচিত সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে ১০০টি দেশ আক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের দেশ আক্রান্ত হয়েছে। মাত্র ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আজকে এই বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় রাজনৈতিক বাদানুবাদ না করে বরং সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা প্রয়োজন।


‘পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরাই দলের নেতৃত্বে থাকবেন’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি একদিকে যেমন দেশ পরিচালনা করছেন, সরকার পরিচালনা করছেন, অন্যদিকে তিনি দলের প্রতিটি বিষয় নিয়ে খোঁজখবর রাখেন। তিনি-ই হচ্ছেন আমাদের দলের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। সে কারণেই আজকে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এ দীর্ঘ সময়ে যে সমস্ত সুযোগসন্ধানী এবং সুবিধাবাদী দলের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে পড়েছে, দলকে তাদের থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করেছি। ’

তিনি বলেন, দলের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরাই দলের নেতৃত্বে থাকবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, সবাই এ দল করতে পারে, সমর্থন করতে পারে, কিন্তু সবাই এই দলের নেতৃত্বে আসতে পারে না। নেতৃত্বে তারাই আসবেন, যারা দল এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থাশীল।  

ড. হাছান মাহমুদ জানান, মার্চ মাসে আমরা আর সম্মেলন করবো না। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে রমজান শুরু হবে বলে এপ্রিল মাসেও আমরা ব্যাপক জনসমাবেশ করে সম্মেলন পরিহার করবো। তবে দলের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে সমস্ত জনসমাগম সম্পৃক্ত কর্মসূচিগুলো আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কোনো কর্মসূচি বাতিল করা হয় নাই। আমরা পুর্নবিন্যাস করতে যাচ্ছি। জনসমাগম হবে এমন দলীয় কর্মসূচিগুলোও আমরা স্থগিত করেছি, পরবর্তীতে এগুলো সুবিধাজনক সময়ে পালিত হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad