ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৪৭০ কিলোমিটার নৌ-পথ খনন করবে ভারত-বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২০
৪৭০ কিলোমিটার নৌ-পথ খনন করবে ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যরা।

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ বাণিজ্য আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে দুই দেশের সইয়ের জন্য একটি প্রোটোকলের সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সংশোধিত প্রটোকল অনুযায়ী, দুই দেশ যৌথ অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ থেকে দৈ খাওয়া পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটার এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ২৯৫ কিলোমিটার নৌ-রুট খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।

সোমবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের সম্মতিতে বাংলাদেশের পানগাঁও ও ভারতের ধুবড়িকে পোর্ট অব কল হিসেবে নৌ-রুটে অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে নৌ বাণিজ্য আরও গতিশীল ও কার্যকর করার জন্য নতুন কয়েকটি পোর্ট অব কল ঘোষণা করা, সেগুলো পরে ডিফাইন করা। আর নতুন প্রোটোকল রুট সংযোজন করা। এছাড়াও আরিচা পর্যন্ত নৌ-রুট বর্ধিতকরণ-এগুলোই এডেন্ডামের মূল লক্ষ্য ছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যৌথ অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ থেকে দৈ খাওয়া পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটার এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ২৯৫ কিলোমিটার নৌ-রুট খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

নৌ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই রুট ভারত ব্যবহার করে, আমরা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করি না। খনন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভারত ৮০ শতাংশ এবং বাংলাদেশ দেবে ২০ শতাংশ খরচ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে মধ্যে নৌ বাণিজ্য আরও গতিশীল ও কার্যকর করার জন্য নয়াদিল্লি ও ঢাকায় ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে সভা হয়। সভায় দুই দেশের সম্মতিক্রমে দ্বিতীয় এডেন্ডাম প্রস্তুত তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এডেন্ডামে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে ভারতের বদরপুর, সোনামুরা ও খোলাঘাট, ময়া ও জগিঘোপা এবং বাংলাদেশের ঘোড়াশাল, দাউদকান্দি, সুলতানগঞ্জ, আরিচা ও বাহাদুরাবাদকে প্রোটোকলের রুটে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

নৌ রুটগুলো দুই দেশ ব্যবহার করতে পারেব বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।