ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করতে চায় নরডিক দেশসমূহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করতে চায় নরডিক দেশসমূহ

ঢাকা: সবুজ প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নরডিক অঞ্চলের তিন দেশের রাষ্ট্রদূত। 

একই সঙ্গে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ ভূমি রাখাইনে ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।  

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে  ‘বাংলাদেশ ও নরডিক দেশসমূহ: অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূতেরা এ আহ্বান জানান।

তিন রাষ্ট্রদূত হলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রুপ পেটারসেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চার্লোটা স্লাইটার।  

সংলাপে শ্রম অধিকারসহ এবং অন্যান্য বিষয়াবলী বিশেষ করে বেসরকারি খাতের ভূমিকা, সমুদ্র দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী দূষণ, বায়ু দূষণ, নারী অধিকার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতেরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে সমূদ্র অর্থনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ তাদের অগ্রাধিকারের খাতগুলো সম্পর্কেও ধারণা দেন এবং বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজীকরণের বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।

এদিকে সংলাপে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন কূটনীতিকেরা। তারা বলেন, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)  যে অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন তা মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সংকট সমাধানে মিয়ানমারকেই উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের নিজভূমে ফিরতে পারে।  

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, আমরা ভেবেছিলাম আশা করেছিলাম,  আইসিজের রায়ের অন্তবর্তীকালীন রায়ের পর মিয়ানমার তা  পুরোপুরিভাবে-ই মেনে চলবে। কিন্তু তারা এর কাছ দিয়েও যায়নি। যা খুবই দুঃখজনক।     

তার সঙ্গে যোগ করে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চার্লোটা স্লাইটার বলেন, আদালতের রায় মেনে নিয়ে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেবে-আমরা তাই-ই প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তারা সেটা করেনি।  

এ সময় রাষ্ট্রদূতেরা কক্সবাজার ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয়দের জন্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন।  

কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এসই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।