শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্যার সময় নদী ভাঙনে এই এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে।
চরবাগডাঙ্গা ও আলাতুলি ইউনিয়নের বাকি ৬.১ কিলোমিটার অংশ ভাঙনকবলিত এলাকা। আগামী মঙ্গলবার একনেকে চরবাগডাঙ্গার এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। আর যেহেতু বর্তমান সরকার জনগণের সরকার, তাই নিশ্চয়ই এ প্রকল্পটি অনুমোদিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক থাকায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে জনগণের জানমাল রক্ষা করা হবে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মো. আব্দুল ওদুদ বলেন, চরাঞ্চলবেষ্টিত ৭টি ইউনিয়ন অনেক অবহেলিত ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চরাঞ্চলের উন্নয়ন হয়েছে। সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর থেকে চরবাগডাঙ্গা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পরে আলাতুলি রক্ষার জন্য সরকার সাড়ে ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করে। অনেক চেষ্টার ফসল হিসেবে আগামী মঙ্গলবার একনেকে চরবাগডাঙ্গার এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় উন্নয়ন কাজ পিছিয়ে গেছে। আগের ধারা বজায় রেখে সরকারের যাতে ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় এবং উন্নয়ন কাজ যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য আমার সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে।
এ সময় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
আরএ
