ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নভেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
নভেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ কথা বলছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যেই লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ও উন্নতমানের গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রাম এলাকার নির্ধারিত স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ও আপগ্রেডেড গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি’ কর্তৃক উপস্থাপিত সুপারিশমালা, প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যান, ত্রিমাত্রিক নকশা এবং স্বতন্ত্র বাড়ির নকশা বাস্তবায়নের বিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শাহজাহান কামাল এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট কমিটির মত অনুযায়ী সোনাপুর-রামগতি সড়কের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রচলিত ধারণার বাইরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত চর পোড়াগাছায় একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মুজিববর্ষ স্মারক গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে তার প্রবেশ পথে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।

ভূমিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু স্মারক গুচ্ছগ্রামের অভ্যন্তরে স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। গ্রামের একপ্রান্তে একটি শিশুপার্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি চিন্তা করে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের বর্তমান মডেলের পরিবর্তে ভূমি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু স্মারক গুচ্ছগ্রামের মডেলটি ভবিষ্যতে প্রণিতব্য ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে দেশব্যাপী আধুনিক গুচ্ছগ্রাম সৃজনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটির সঞ্চালনা করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম, লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ ও ভূমি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ লক্ষীপুরের কয়েকজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অন্যান্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad