ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টাঙ্গাইলে লৌহজং নদ উদ্ধার অভিযান শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
টাঙ্গাইলে লৌহজং নদ উদ্ধার অভিযান শুরু

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত লৌহজং নদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের বেড়াডোমা সেতু থেকে হাউজিং সেটেলমেন্ট সেতু পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

এর আগে এই অংশে নদ পরিমাপ করে ২৬০টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়।

উচ্ছেদ উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি নদের পাড় ধরে বেড়াডোমা এলাকা পর্যন্ত যায়।  

সেখানে নদ দখলমুক্তকরণ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি জাফর আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে দুপুরে নদের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হাইকোর্ট সারাদেশে নদ-নদী উদ্ধারের আদেশ দিয়েছেন। যারা নদ-নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন তাদের নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। তা না করলে সরকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে তার খরচ আদায়ের জন্য দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।

বিকেলে কাগমারা, বেড়াডোমা, জেলা সদর হাউজিং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এক তলা থেকে সাত তলা পর্যন্ত অন্তত ২০টি ভবন ভাঙার কাজ চলছে। কোনো কোনো ভবনের মালিক নিজ উদ্যোগে তাদের ভবন ভেঙে নদের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো ভবনে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়োজিত কর্মীরা ভাঙার কাজ করছেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য একাধিক বেকু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

স্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দা জমসের আলী জানান, তিনি সব নিয়মনীতি মেনে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। পৌরসভার নকশা অনুমোদনসহ জমির উপযুক্ত কাগজপত্র তার রয়েছে। এখন নতুন করে নদের জায়গা পরিমাপ করে তাকে দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে তার বিশাল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। নদী উদ্ধার আন্দোলনের কর্মী সাজ্জাত খোশনোবিশ জানান, লৌহজং নদ উদ্ধার অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের মানুষ। এ নদ দখলমুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল টাঙ্গাইলবাসীর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ লৌহজং নদের প্রথম পর্যায়ে টাঙ্গাইল শহরের ভেতর তিন কিলোমিটার অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। পর্যায়ক্রমে পুরো নদ দখলমুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।