ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাড়ি চালকের মেয়ে ৫ বছরে শতকোটি টাকার মালিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
গাড়ি চালকের মেয়ে ৫ বছরে শতকোটি টাকার মালিক

নরসিংদী: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া চৌধুরী। পাশাপাশি গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা তার। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব কিছুর আড়ালে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন অপরাধের সাম্রাজ্য। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচ তারকা হোটেলে সুন্দরী নারীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্টদের। জড়িয়ে পড়েন অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন অপরাধ সাম্রাজ্যের রানি। সেই সাম্রাজ্যে তিনি পরিচিত ‘পিউ’ নামে। 

সরেজমিনে পাপিয়ার বাড়ির আশপাশের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাপিয়া একজন অটো গ্যারেজের মালিকের মেয়ে। এক সময় তাদের তেমন কিছুই ছিল না।

গত পাঁচ বছরে বিপুল অর্থবিত্ত হাতিয়ে রাতারাতি বনে গেছেন শত কোটি টাকার মালিক। গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট- কি নেই তার। দেশে গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে দিয়েছেন বারও।  

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে আটক করে র‌্যাব-১। আটকদের মধ্যে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮) ছাড়াও আছেন সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। এসময় তাদের কাছে বিপুল অর্থও পাওয়া যায়।

পরে অসামাজিক কার্যকলাপ ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পাপিয়াকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ।

জানা যায়, নরসিংদীর বাগদী এলাকায় পেট্রোবাংলার অবসরপ্রাপ্ত গাড়িচালক সাইফুল বারীর মেয়ে পাপিয়া। বর্তমানে তার বাবার নিজ এলাকায় একটি অটো গ্যারেজ রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি অটো গাড়ি ভাড়া দিয়ে চলে তাদের সংসার। সস্প্রতি পাপিয়া দোতলা আধুনিক একটি বাড়ি করেছেন। তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন গানের শিক্ষক মতিউর রহমান চৌধুরীর বড় ছেলে। মতিউর রহমান স্থানীয় নজরুল একাডেমির অধ্যক্ষ।  

পাপিয়ার কার ওয়াশ দোকানপাপিয়ার স্বামী সুমনের উত্থান
একসময় সুমনেরও তেমন কিছুই ছিল না। আধাপাকা টিনশেড ঘরেই কেটেছে তার শৈশব। এসএসসির গণ্ডি পার হওয়ার পর থেকেই জড়িয়ে পড়েন অপকর্মে। ২০০০ সালের দিকে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনের উত্থান শুরু। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্ল্যাকমেইল সুমনের প্রধান পেশা। দূরদর্শী, চতুর ও মাস্টার মাইন্ড সুমন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে সুমন ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেন পাপিয়া চৌধুরীকে। তাদের ঘরে মাদহাত চৌধুরী ইসাব নামে আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে।  

২০১২ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকায় ভাড়া বাসার সামনে শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় সুমনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তখন সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি বিদ্ধ হয় তার স্ত্রী পাপিয়ার পেটে। এরপর তারা নরসিংদী ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। ঢাকায় এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে সখ্য। এরপর থেকে পাপিয়া চৌধুরী ও তার স্বামী সুমন ওরফে মতি সুমন রাজধানীর সাবেক এক সংরক্ষিত এমপির আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ওই এমপির সঙ্গে তার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে বলে জানা যায়।  

স্বামী সুমনের সঙ্গে পাপিয়া২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে তৌহিদা সরকার রুনা সভাপতি ও পাপিয়া চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সুমন শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও তার স্ত্রী পাপিয়া যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় এলাকায় তাদের বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। বিশাল শোডাউন আর শত শত লোকজন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মিছিল, সভায় তারা যোগ দেন। নরসিংদী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী যারা তার অনুসারী তারা ‘কিউ অ্যান্ড সি’ ট্যাটু ব্যবহার করেন। মাঝে মধ্যেই তারা বিশাল শোডাউন দেন আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে।

স্বামী-স্ত্রীর যত সম্পদ
নরসিংদী জেলা শহরে বাগদী মারকাজ মসজিদ এলাকায় একটি পাকা ও আরেকটি সেমিপাকা টিনশেড বাড়ি রয়েছে পাপিয়ার। সেমিপাকা টিনশেড বাড়িটি তিনি এবং তার অনুসারীরা বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেন। একই এলাকার বেলদী মোড়ে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ এবং আরেকটি ৬ শতাংশের মূল্যবান দুটি প্লট রয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণদীতে স্বামীর দোতলা একটি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে ‘রওশন ডমিনো রিলিভো’ বিলাসবহুল ভবনে পাপিয়া ও তার স্বামীর নামে রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট। এছাড়া তার কালো ও সাদা রঙের দু’টি মাইক্রোবাস, একটি হ্যারিয়ার, একটি নোহা ও একটি ভিজেল কার রয়েছে। নরসিংদী শহরে পাঁচটি মোটরসাইকেল রয়েছে বলে জানা যায়। মোটরসাইকেলগুলো তার অনুসারীরা ব্যবহার করেন।  

পাপিয়ার বাড়িনরসিংদী জেলা শহরে সুমন চৌধুরীর কেএমসি কার ওয়াশ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কার ওয়াশ ব্যবসার আড়ালে এখানে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে। তার স্বামীর মালিকানায় থাইল্যান্ডে একটি বারও রয়েছে। নরসিংদীর এসএমই শাখায় গত বছরের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজার ৮২৯ টাকা জমা ছিল। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের নরসিংদী শাখায় পাপিয়ার হিসাবে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা ছিল। সিটি ব্যাংকে তার তিনটি হিসাব নম্বরের খোঁজ পাওয়া যায়। এর একটিতে ১ লাখ, অন্য দু’টিতে ৫০ হাজার ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ডিপোজিট পাওয়া যায়। তার সিটি ব্যাংকের একটি অ্যামেক্স গোল্ড ক্রেডিট কার্ড ও একটি এমেক্স গ্রিন ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। রাজধানীর এফডিসি গেটের সঙ্গে ‘কার এক্সচেঞ্জ’ নামে রয়েছে তার একটি গাড়ির শোরুম।

মিছিলে নারীদের নিয়ে পাপিয়াপাপিয়ার ফাঁদ
একটি সূত্র জানায়, পাপিয়া প্রতিটি মিছিলেই প্রচুর নারীকর্মীদের নিয়ে  বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে সভা সমাবেশে হাজির হতেন। আর তার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেন। ফলে পাপিয়ার সঙ্গে দরিদ্র নারীদের যোগাযোগ ছিল। তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে এসব দ্ররিদ্র নারীদের সহায়তা করতেন। ফলে তার উপর আস্থা তৈরি হয়েছিল। যে কোনো বিপদ-দরকারে তার কাছে সহযোগিতার জন্য আসতেন নারীরা। আর পাপিয়া এই সুযোগ ব্যবহার তাদের ফাঁদে ফেলে ও ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করাতেন ঢাকায় নিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, ব্ল্যাকমেইলই তাদের প্রধান পেশা। তারা প্রথমে সুন্দরী নারীদের পাঠান। তারপর কৌশলে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অন্তরঙ্গ মুর্হূতের ছবি ভিডিও করেন। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে তার নামে প্রায়ই প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ভাড়া নেওয়া থাকতো। সেখানেই চলতো অপকর্ম।

সুমনের বাড়িসুমন-পাপিয়ার বাড়ি ও ব্যবসা
নরসিংদী শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মণদীতে সুমনের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাসার দরজা তালাবদ্ধ। আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবারের সবাই বাড়ি তালাবব্ধ করে ঢাকায় চলে গেছে। আর সুমন  ও পাপিয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই বাসায় আসতেন। পরে শহরের ভাগদী এলাকায় পাপিয়ার বাসায় গেলেও বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পাপিয়ার বাড়ির সদস্যরা কোথায় গেছে তা প্রতিবেশীরা জানাতে পারেননি। তবে পাপিয়ার এই অস্বাভাবিক উত্থান তাদের কাছেও ছিল রহস্যজনক। পাপিয়ার ক্ষমতার দাপটের কারণে তা তারা কখনও প্রকাশ করতে পারেনি।  

তবে পাপিয়া ও সুমনের কেএমসি কার ওয়াশে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা যায়। কেএমসি কার ওয়াশের এক কর্মচারী জানান, শনিবার রাতের তিনটি গাড়ির মাধ্যমে র‌্যাবের সদস্যরা দোকানে এসেছিলেন। তারা দোকানের হিসাব খাতা নিয়ে দোকানের আয় ও খরচ দেখেন। আর দোকানে কোনো অপরাধমূলক কাজ সংগঠিত হয় কিনা জানতে চান।

যা বলছেন স্থানীয় রাজনীতিকরা
শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এত অল্প সময়ে কেউ বিপুল পরিমাল অর্থ সম্পদের মালিক হতে পারে না। তারা অনৈতিক কাজ করেই এসব অর্জন করেছেন। আর অসহায় ও দরিদ্র মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করতেন। রাজি না হলে তাদের উপর চালানো হতো নির্যাতন।

নরসিংদী শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামীর চালচলন দেখে প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সন্দেহের বাইরে ছিল না। তার আয়ের উৎস সর্ম্পকে সব সময় ধোঁয়াশা ছিল।

জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসিবুল ইসলাম মিন্টু বলেন, পাপিয়া ও সুমনের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তাদের সঙ্গে কারো ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে। এ ব্যাপারে আমার ধারণা নেই।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তৌহিদা সরকার রুনা বাংলানিউজকে বলেন, মহিলা যুবলীগের কমিটিতে ছয় বছর ধরে পাপিয়া ও আমি একসঙ্গে রয়েছি। আমরা একসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই জানতে পারিনি পাপিয়া এত বড় অপরাধে জড়িত।  

নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভুইয়া বলেন, খারাপ লোকের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ বহন করবে না। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অন্যায় কাজ করেছে। যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।  

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, আমি রাজনীতিতে আসার আগেই মতি সুমনের উত্থান ঘটে। মতি সুমনকে যারা তৈরি করেছে এ দায় তাদের, আওয়ামী লীগের নয়। জেলা যুব মহিলা লীগের কাউন্সিলের সময় আমি মঞ্চে বসে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমাকে অনুরোধ করেছিলাম পাপিয়াকে কোনোভাবেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে না আনতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল একমত না হওয়ায় আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। আমি নরসিংদীর কাউন্সিলে কমিটি ঘোষণা করতে দেইনি। পরে ঢাকা থেকে পাপিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে পাপিয়ার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে চাউর হয়েছে চারদিকে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তনি।  

‘পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাই যুব মহিলা লীগের পিকনিকে সাধারণ সম্পাদক অপুদির সঙ্গে গেলে তাকে আমি চিনেছি। আমার সঙ্গে পাপিয়ার এক বছর দেখা হয় না। আমি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি, জেলা কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার আমি রাখি না, যারা তাকে নেতৃত্বে এনেছে তারা তার ব্যাপারে জবাবদিহি করবে। পাপিয়ার সঙ্গে আমার কোনো গাড়ির ব্যবসা বা অন্য কোনো ব্যবসা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।