ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
‘সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা না’ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর “বঙ্গবন্ধু উপাধি” প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার অমলিন স্মৃতি’ শীর্ষক আলোচনা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘বঙ্গবন্ধুর তুলনা শুধু তিনি নিজেই, অন্য কেউ না। তার মতো বিচক্ষণ নেতা শুধু দেশে নয় বিশ্বে বিরল। তিনি একাধারে সমাজের, দেশের, বাঙালির ও বিশ্বের বন্ধু ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে কিন্তু জনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কী পরিমাণ ছিল তা মাপা যাবে না।’

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর “বঙ্গবন্ধু উপাধি” প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা, ভালোবাসার অমলিন স্মৃতি’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন নেতা।

তার আপোষহীনতার কারণে তাকে বার বার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আবার তিনি যখন কথা বলতেন ভেবেচিন্তে বলতেন, এক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। আবার তিনি যেটা বলেছেন সেটার ওপরই থেকেছেন। যুগে যুগে অনেক নেতা এসেছেন কিন্তু তার মতো এতো বিচক্ষণ নেতা বিশ্বে বিরল। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, এরপর দলকে সংগঠিত করেছেন, পরে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তারপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক নেতাকে অনেক নামে সম্বোধন করা হয়েছে। কাউকে মহাত্মা, কেউ নেতাজি, দেশবন্ধু, শেরে বাংলা উপাধি পেয়েছেন। তবে এসব উপাধিদের কোনোটাই আনুষ্ঠানিক না, মহাত্মা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু উপাধিটা দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। বিশ্বের কোনো নেতাকে সে দেশে অভিবাদন জানাতে একজন আসলেও বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপ্রতি যৌথভাবে সে দেশের বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়েছে। সমাজ, দেশ, বাঙালির ও বিশ্বের বন্ধু ছিলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয় সেদিন আমি তাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করেছিলাম। সার্জেন্ট জহুরুল, অধ্যাপক শামসুজ্জোহা, আসাদ, রুস্তমের রক্তের বিনিময়ে তোমাকে মুক্ত করেছি। বলেছিলাম আমরা তোমার কারণে ধন্য, তোমার কাছে ঋণী। আজ তোমাকে একটি উপাধি দিয়ে কিছুটা ঋণমুক্ত হতে চাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতাকে স্মরণ করতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ৫৪’র যুক্তফ্রন্টের দিকে, ৬৬’র ১১ দফার দিকে, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থানের দিকে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল বাঙালি অর্থনৈতিক মুক্তি, বাঙালির শোষণ-বঞ্চণা থেকে মুক্তি। তিনি সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়ার ৫১ বছরে এসেছি আমরা। এদেশে জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃতি করার ষড়যন্ত্র বারবার হয়েছে। ১৯৯১ সালে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতি করা হয়েছিল। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রকৃত ইতিহাস মানুষের মধ্যে আসতে থাকে। বাস্তবে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে না। তিনি এমন এক মহান ব্যক্তি ছিলেন, যিনি ইতিহাসের গতিধারা পরিবর্তন করেছেন। তিনি বাঙালির, সমাজের ও দেশের বন্ধু।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেতা রিয়াজ, মাসুম আজিজ, ক্রিকেটার রকিবুলসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ইএআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।